পরকীয়া সম্পর্কের দ্বন্দ্বে যুবককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা
পরকীয়া সম্পর্কের দ্বন্দ্বে ডেকে নিয়ে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে দগ্ধ করা সেই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আগুনে দগ্ধ করার ৫ দিন পর আহসানুল ইসলাম অর্কিড নামের সেই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। নিহত অর্কিড ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজারের ওসমান গণির ছেলে।
অর্কিডের চাচা আমিনুর রহমান জানান, অর্কিড আগুনে দগ্ধ হয়ে গত ৫ দিন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান রিংকুর স্ত্রী তারিন খাতুন। তারিন দুই সন্তানের জননী। তার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্কিড। অর্কিডও বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। মাস খানেক আগে তারিনকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন অর্কিড। এরপর থেকেই তারা পালিয়ে ছিলেন। শোনা যায় মাঝে অর্কিড ও তারিনের সম্পর্কের দূরর্ত তৈরি হয়। পরে দুজন দু’জায়গাতে অবস্থান করছিলেন তারা।
তারা জানান, সর্বশেষ গত ৫ মার্চ মীমাংসার কথা বলে অর্কিডকে যশোরে ডাকেন তারিন। ওইদিন সকাল ৭টার দিকে যশোর পুরাতন কসবা মসজিদের কাছে ডেকে নিয়ে অর্কিডের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর দ্বগ্ধ অর্কিডের পরিবারের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যান।
এদিকে পরকিয়ার জেরে যুবকের দেহে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ওইদিন ফেসবুকে দুটি ভিডিও প্রকাশ হয়। ভিডিওর একটিতে অর্কিডের বলতে শোনা যায়, ঘটনার সঙ্গে রিংকু ও তারিন দায়ী নয়, ফয়সাল তার শরিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। অপর ভিডিওতে স্বজনদের প্রশ্নের উত্তরে রিংকু, তারিন, ফয়সাল ঘটনার সময়ে ছিল বলে জানিয়েছেন।
একমাত্র ছেলে অর্কিডের মৃত্যুর বিষয়ে বাবা ওসমান গনি বলেন, রিংকু, তার স্ত্রী তারিন ও ফয়সাল আমার ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। আমার ছেলে হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মরদেহ এখনো কালীগঞ্জে পৌঁছেনি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, যুবকের শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে, ঘটনার স্থান অন্য জেলাতে হওয়ায় এ থানায় মামলা বা অভিযোগ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।