বয়স ধরে রাখা যাবে কীভাবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ মার্চ ২০২৫, ১৬:০১
শেয়ার :
বয়স ধরে রাখা যাবে কীভাবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

সময় ধরে রাখা যায় না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধ হতে থাকে মানুষের শরীর ও মন। তবে গবেষকরা বলছেন কিছু উপায়ে আপনি মস্তিস্ককে বার্ধক্য থেকে দূরে রাখতে পারে। তারা বলছেন, পরিবারে সন্তান আসলে মস্তিস্ক ভালো থাকে। 

প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সাইন্স এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সন্তান নিলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন তরুণ ও সক্রিয় থাকতে পারে। গবেষণাটি ৩৭ 

হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়, যা এখন পর্যন্ত পিতৃত্ব ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ে হওয়া সবচেয়ে বড় গবেষণা বলে বিবেচিত হচ্ছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, যদিও প্যারেন্টিং ক্লান্তি ও মানসিক চাপে ফেলতে পারে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে, বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপনা, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং সামাজিক সংযোগ বাড়ায়।

গবেষকদের মতে, ‘বেশি সন্তান লালন-পালনের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে সঞ্চালন ও সংবেদনের সঙ্গে যুক্ত অংশগুলোতে।’

সন্তান জন্মদান ও স্তন্যপান না করার কারণে অধিকাংশ গবেষণায় বাবা বা পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। তবে এই গবেষণায় ১৭ হাজার পুরুষ অংশ নেন এবং দেখা যায়, শুধুমাত্র গর্ভধারণ নয়, সন্তান পালন ও লালন-পালনও মস্তিষ্কের সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গবেষণা আরও বলছে, ‘এই একই মস্তিষ্কীয় নেটওয়ার্ক বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে দুর্বল হতে দেখা যায়। ফলে পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব মস্তিষ্কের বয়সজনিত দুর্বলতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।’

গবেষণার প্রধান লেখক ও নিউরোসায়েন্স বিশেষজ্ঞ আভরাম হোমস জানিয়েছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, সন্তান যত বেশি, মস্তিষ্কের সংযোগ ও কার্যকারিতা তত ভালো হয়, বিশেষ করে চলাচল, সংবেদন ও সামাজিক সংযোগের সঙ্গে যুক্ত অংশগুলোতে।’

তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণকারীদের উপর পরিচালিত, তাই বিশ্বব্যাপী আরও গবেষণা প্রয়োজন। তারা বলছেন, কিভাবে প্যারেন্টিং মস্তিষ্কের বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, তা আরও গবেষণা করে বোঝার দরকার রয়েছে। বিশেষত, যখন অনেক দেশে জন্মহার কমে যাচ্ছে, তখন এটি একাকীত্ব ও ডিমেনশিয়ার (মস্তিষ্কজনিত রোগ) বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।