শাহজাদপুরের অগ্নিকাণ্ডে ৪ জন নিহতের কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর শাহজাদপুরের সৌদিয়া হোটেলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে চারজন নিহত হন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। আজ সোমবার আগুন নির্বাপণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ছয়তলা ভবনটির নিচতলা হার্ডওয়্যারের দোকান, দ্বিতীয় তলায় বিউটি পারলার, তৃতীয় তলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত আবাসিক হোটেল। দোতলায় প্রচণ্ড আগুন এবং ধোঁয়া ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোট চারটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করে। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।’
তিনি বলেন, ‘ভবনটির চিলেকোঠায় তিনজনের মরদেহ পাই এবং একজনকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। ছাদে যাওয়ার জন্য চিলেকোঠার দরজা বন্ধ ছিল। অর্থাৎ প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে আবাসিক হোটেলের ভেতরে যারা ছিল তারা বাঁচার জন্য ওপরের দিকে ওঠে যান। ওপরে উঠতে গিয়ে তারা দেখতে পান ছাদের দরজা বন্ধ। এরপর তারা আর সেখান থেকে বের হতে পারেননি। এ জন্য ধোঁয়ার কারণে চারজনের মৃত্যু হয়। ‘
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, চারজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চারজনের মরদেহ ছাড়া দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘আগুনের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। মালিক কর্তৃপক্ষের কাউকে আমরা পাইনি। কমিটি গঠনের পর তদন্ত করে আগুনের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ভবনটি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে কি না এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়নি। ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সিঁড়িগুলো ছিল সরু। সিঁড়ির পাশে যে জানালা ছিল সেগুলো কাচ দিয়ে বন্ধ করা ছিল। কাচ দিয়ে বন্ধ না থাকলে ধোঁয়া বের হয়ে আসতে পারত।’
উল্লেখ্য, আজ দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে সৌদিয়া হোটেলে আগুন লাগে।