আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে এফডিসি

বিনোদন প্রতিবেদক
০৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:৫৬
শেয়ার :
আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে এফডিসি

চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত বিএফডিসি (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) জৌলুস হারাতে বসেছে। আগের মতো সেই জমজমাট অবস্থা আর নেই। দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে এর কর্মীদের মাঝে। বেতন না পেয়ে আন্দোলনও করতে দেখা গেছে এফডিসির কর্মচারীদের।

এফডিসিকে আবারও চাঙা করতে সম্প্রতি কমানো হয়েছে শুটিং ফ্লোর ও যন্ত্রপাতির ভাড়া। এবার নজর দেওয়া হচ্ছে এফডিসির পাওনা টাকা আদায়ে। গতকাল রবিবার নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাওনা অর্থ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কথায়, ‘অনেকের কাছে এফডিসি টাকা পায়। এমন অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের টাকার শেষ নেই। অথচ এফডিসি থেকে বিশাল অর্থের কাজ বাকিতে করিয়েছেন। টাকা ফেরত দেওয়ার নাম নেই। জানতে পেরেছি, তাদের বারবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা তাদের কাছে পাওনা, অথচ এখানকার মানুষজন বেতন পায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। যেহেতু এখানে নতুন এসেছি, আমি চাইব তারাও আমাকে সহায়তা করুক। প্রত্যেককে বলেছি, শুধু চিঠি চালাচালি না করে নিজ থেকে এফডিসির হয়ে যোগাযোগ করতে। প্রথমে তাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গেই পাওনা চাওয়া হবে। না হলে আইনি পথেই হাঁটতে হবে।’

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন মাসুমা রহমান তানি। সেদিনই তার অপসারণের দাবি জানিয়ে এফডিসির মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। তবে এসব নিয়ে না ভেবে এফডিসি নিয়েই ভাবছেন তানি।

তার কথায়, ‘শুধু কাজ বা দায়িত্ব নয়, এফডিসি আমার ভালোবাসার জায়গা। দায়িত্বের সঙ্গে যখন প্যাশন মিলে যায়, তখন সেই কাজটি ভিন্ন মাত্রা পায়। আমার আগে যারা কাজ করতে এসেছেন এখানে, তাদের ওপর সেই সময়ের সরকারের নানা রকম প্রেশার থাকত। কিন্তু এই সরকার দেশের সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। এই সুযোগে এফডিসির সংস্কার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

আগামী পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তানি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়ে গেছে। ফ্লোরগুলোর ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শুটিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া এখানে শুটিং করতে নির্মাতা ভয় পেত। নানা রকম নিয়মের বেড়াজাল থাকত। সেই বিষয়গুলো সমাধান করা হচ্ছে। আরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে।’