শেকৃবিতে গভীর রাতে র্যাগিং, ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করলেন উপাচার্য
র্যাগিং রুখতে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের থেকে ফোনকলে র্যাগিং চলছে এমন খবর পেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার র্যাগিং বিরোধী এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে অভিযান করে র্যাগিংরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে নাতে ধরেন তিনি।
তারা নতুন ভর্তি হওয়া ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিটিংয়ের নামে র্যাগিং তৎপরতায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে উপাচার্য তাদের ছবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
এদিকে র্যাগিং চলছে এমন খবর দিতে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরফান আলী, সহকারী প্রক্টর আখতার হোসাইন, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহাবুব ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও সাড়া পাননি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন ও জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবুল বাশার।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেকৃবি শাখার আহবায়ক আসাদুল্লাহ বলেন, ‘জুনিয়ররা নির্দিষ্ট দলের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে না গেলে আমাদের কাছে র্যাগিং এবং সিট বাতিলের হুমকির অভিযোগ আসছে। ২৩ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী এসব র্যাগিং-এর ঘটনায় যুক্ত। গতকালও রাত চারটা পর্যন্ত এ ধরনের র্যাগিং মিটিং চলেছে। এজন্যে আজকের ঘটনা জানতে পেরে প্রক্টর, প্রভোস্ট এবং ছাত্র-পরামর্শকদের ফোন দিলাম। পরে তাদের না পেয়ে উপাচার্যকে ফোন দিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ফোন করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানান। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি অপেক্ষা না করে ট্রেজারারকে জানিয়ে দ্রুত বের হয়ে আসি। নজরুল হলে এসে দেখি ২৩ ও ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাত ২টায় মিটিং করছেন। আমি তাদের রুমে পাঠিয়ে দিই, এরপর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলে গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাগিং কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ র্যাগিংমুক্ত রাখতে চাই।’