মহাজাগতিক ঘটনার স্বাক্ষী হলো বেনুর ভিটা

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি
০১ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৮
শেয়ার :
মহাজাগতিক ঘটনার স্বাক্ষী হলো বেনুর ভিটা

একই দিনে দেখা মিলল সাতটি গ্রহের। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনার স্বাক্ষী হলো পৃথিবী। সেই সঙ্গে স্বাক্ষী হলো গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র মানমন্দির “বেনুর ভিটা অবজারবেটরী।”

গতকাল শুক্রবার রাতভর ওই অবজারবেটরীতে টেলিক্সোপে দেখা হয় সাতটি গ্রহ। মহাজাগতিদক ঘটনা দেখতে ছুটে আসেন মহাকাশ প্রেমিরা।

বেনুর ভিটা অবজারবেটরীর দেওয়া তথ্য মতে, শুক্রবার মহাজাগতিক ঘটনার মুখোমুখি হয় পৃথিবী। একই দিনের পৃথক সময়ে সাতটি গ্রহের দেখা মেলে। খালি চোখে দু’একটি দেখা গেলেও বেশীর ভাগ দূরত্বের কারণে খালি চোখে দেখা যায়নি। বেনুর ভিটায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহ দেখানো হয়। গ্রহগুলোর মধ্যে বুধ সন্ধ্যা ৭.০৩টা, শুক্র সন্ধ্যা ৮.১৭টা, মঙ্গল ভোর ৩.৩৪টা, বৃহসপতি রাত ১২.৫৩টা, শনি সন্ধ্যা ৬.৪৮টা, ইউরেনাস রাত ১১.২৮টা ও নেপচুন সন্ধ্যা ৭.২৫টা পর্যন্ত দেখা যায়। 

মহাকাশের এই সাতটি গ্রহ দেখার অনুষ্ঠানে অংশ নেন বেনুর ভিটা অবজাবেটরীর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তি যোদ্ধা শাজাহান মৃধা বেনু, মহাকাশ প্রেমি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ বিজয়ী সালমা, পর্বত আরোহী প্রশিক্ষক ও পর্বত আরোহী রোপ ফোরের সত্যাধিকারী মাহি বেনুর ভিটা অবজারবেটরীর সমন্বয়ক কাবেরী জান্নাত, শিশু বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের প্রতিনিধি ও মহাকাশ বিজ্ঞান মনষ্ক শিক্ষার্থীরা। টেলিস্কোপ পরিচালনা ছিলেন নূর মোহাম্মদ।  

বেনুর ভিটা অবজাবেটরীর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তি যোদ্ধা শাজাহান মৃধা বেনু বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র মানমন্দির হলো শ্রীপুরের বেনুর ভিটা অবজারবেটরী। এখানে বৃহদ অঅকারের টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশ দেখা যায়। শিশু, কিশোর, মহাকাশ প্রেমিরা এখানে এসে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে পারবে। এ মানমন্দির নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে চেষ্টা করছি।’