গাজায় মানবাধিকার ভয়াবহ লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহভাবে যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে, তা ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। এটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ’
গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে গাজা, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিবেদনে হামাসকে ৭ অক্টোবর থেকে গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।তুর্ক বলেছেন, ‘হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নির্বিচারে প্রজেক্টাইল (ভূপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপ করা মিসাইল বা রকেট) নিক্ষেপ করেছেন, যা যুদ্ধাপরাধের সামিল।’
তুর্ক বলেছেন, ‘গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বিশাল - ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্কুল পর্যন্ত। ’ ইসরায়েলের আরোপিত বিধিনিষেধ একটি মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে বলেও জানান তুর্ক।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। আর ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দীর্ঘ ১৫ মাসের এ হামলায় ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন আর আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।
এ দিকে, ওএইচসিএইচআর-এর প্রতিবেদনের বিষয়ে নিজেদের মত জানাতে কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি ইসরায়েল। তারা বরাবরই গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এসেছে। তাদের দাবি, তাদের অভিযান কেবল হামাস সদস্যদের লক্ষ্য করে এবং বেসামরিক ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস