চেতনানাশক খাইয়ে মাছ-মাংসসহ স্বর্ণ চুরি, হাসপাতালে ৬

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪২
শেয়ার :
চেতনানাশক খাইয়ে মাছ-মাংসসহ স্বর্ণ চুরি, হাসপাতালে ৬

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাবারের সঙ্গে চেতনানশক মেশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে একজন পুরুষ, ২ জন নারী ও ৩ জন শিশু।

আজ শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগীদের স্বজন মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরপাগলা গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যদেরকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস ও টাকা-স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে একই উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের ফলকন গ্রামে শাহজাহান মির্দার বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে ৩ পরিবারের ১২ জনকে অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে।

অসুস্থরা হলেন বকুল বেগম, তার ছেলে মাকসুদ আলম, মেয়ে জোসনা আক্তার, নাতি আফরাজ, নাতনি জান্নাতসহ ৬ জন । 

বকুল বেগমের ভাগিনা আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাকে দেখতে বকুল বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যান। তার ছেলে মাকসুদ দুপুরে বাজারে অবস্থান করছিলেন। তারা বাড়িতে ফিরে ৩টার দিকে সবাই একসঙ্গে খাবার খান। এরপর থেকেই তাদের সাড়া শব্দ ছিল না। আশপাশের মানুষ ভেবেছিল, তাদের বাড়িতে কেউ নেই। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এতে তারা বাড়িতে ঢুকে বকুলসহ সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে খাবারের সঙ্গে চেতনানশক ঔষধ খাইয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। মাকসুদের বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশে ঘরে টাকা রাখা ছিল। ওই টাকাও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে।  

আল-আমিন বলেন, ‘দুপুরে মামি ও মাকসুদ বাড়িতে ছিলেন না। জোসনা বাড়িতে অসুস্থ ছিলেন। এতে এক প্রতিবেশি নারীকে দিয়ে রান্না করানো হয়। ওই খাবার খেয়েই সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এখন মামি একটু সুস্থ হলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাই মূল ঘটনাটি এখনো জানা সম্ভব হচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মো. আমিনুল ইসলামকে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।