তাহিরপুরে নেই এসিল্যান্ড, জনবল সংকটে ভূমি অফিস

তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮
শেয়ার :
তাহিরপুরে নেই এসিল্যান্ড, জনবল সংকটে ভূমি অফিস

গত দুই মাস ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নেই। শুধু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদটিই শুন্য নয়, সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসেও জনবল সংকট রয়েছে। এতে করে নামজারীসহ নানান কাজে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পদে যোগদান করেন শামস সাদাত মাহমুদউল্লাহ। তিনি একই বছরের ৩১শে ডিসেম্বর বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি নিজ দাপ্তরিক কাজসহ বিভিন্ন কারণে দিনভর ব্যস্ত থাকায় ভূমি অফিসে খুব কম সময় দিতে পারছেন। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ নামজারীসহ অন্যান্য কাজ সমাধানে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে উপকারভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ভূমি অফিসে যে কয়টি পদ রয়েছে, তার মধ্যে কানুনগো ১টি পদের মধ্যে একটিই শুন্য, প্রধান সহকারী/নাজির/অফিস সহকারী/মিউসহ ৬টি পদ থাকলেও এই উপজেলা থেকে দুজন প্রেশনে অন্য উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া সার্ভেয়ার দুটি পদের মধ্যে ১টি পদ শুন্য, জারীকারক দুটি পদের মধ্যে দুটিই শুন্য, চেইনম্যান দুটি পদের মধ্যে ১টি পদ শুন্য। উপজেলার ২টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মধ্যে ইউনিয়ন ভূমি অফিস তাহিরপুর সদর এ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ১টি পদের মধ্যে ১টি ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুটি পদের মধ্যে ১টি পদ শুন্য ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ডিহিভাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ১টি পদের মধ্যে ১ টিই শুন্য ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুটি পদের মধ্যে ১টি পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে কর্মরতগন তাদের কাজ সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না।

দলিল লেখক আলাউদ্দিল জানান, এসিল্যান্ড না থাকায় নামজারী করা যাচ্ছে না, এতে করে জমি বিক্রি কমে গেছে। অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারছেন না। এদিকে এর আগে সাপ্তাহে দলিল হতো ৭০-৮০টি। এখন হচ্ছে ৪০-৫০টি। এতে করে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে জনগন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বাগলী,বড়ছড়া থেকে আসা জামিল মিয়া, শাহাদত আলী, আল আমিন, নুর ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নামজারী করতে আসা লোকজন জানান, এত দুর থেকে এসেছিলাম নামজারী করতে। এখন শুনি এসিল্যান্ড স্যার নাই। তিনি গত দুই মাস ধরেই নাই। না থাকায় দুর্ভোগে আছি। এছাড়া জনবল সংকট থাকায় ভূমি অফিসের কাজেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

ভূমি অফিসগুলোতে কর্মরতরা জানান, একে তো জনবল নেই, এর মধ্যে এসিল্যান্ড স্যার নেই। তিনি না থাকায় জনগন তাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি আমাদেরও দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, এসিল্যান্ডসহ শুন্য পদ গুলো পূরনের জন্য আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।