গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের
জুলাই আন্দোলন চলাকালে গড়ে ওঠা সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অবাঞ্চিতের কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম নাহিদ নামে এক ছাত্র বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার ভয়ে লেজ গুটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তখন যারা তাদের তুলে এনেছিল এবং আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করেছিল, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু আজকে নতুন ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে কোনো বেসরকারি শিক্ষার্থীকেই রাখা হয়নি। আজকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ কর্মসূচি জানাতে আমরা মধুর ক্যান্টিনে যাই, সেইসময় কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই প্রত্যয় নিয়ে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইতিহাস গড়তে পারত, কিন্তু তারা আজকে কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তরিকুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তারা সংগঠনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তাদের এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা কেউ বাংলাদেশকে দেখতে পাই না। আমরা শুধু এই সংগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখছি কমিটির সুপার সিক্সের ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাকি একজন সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের। এই কমিটিতে প্রাইভেট নেই, জগন্নাথ নেই, কোনো মাদ্রাসাও নেই। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো মারামারি বা মার খেতে যাইনি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক চাইতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে, আমরা সেটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি, তাদের এই কমিটিতে কোনো পদেই আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না। ’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নাহিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এমনকি এই ঢাবি সিন্ডিকেটকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চাইবে এবং কমিটি পুনর্গঠন না করবে, তাদের কোনো কর্মসূচিতেও আমরা আর অংশগ্রহণ করব।’