মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলায় অবস্থান করলেও সিলেটে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি হয়েছেন সিপন আহমদ পাঠান নামে এক যুবক। আজ বুধবার সিলেট নগরীতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও তার নামে সিলেটে মামলা করেছেন জনৈক ব্যক্তি। মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছেন মামলার বাদী তুরণ মিয়া।
সিপন আহমদ পাঠান সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিপন আহমদ পাঠান বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। তরুণদের সংগঠিত করেছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়াজ তুলেছি এবং এলাকায় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এই কাজের জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছিলেন। আমি ভয় পাইনি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছি। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে জানতে পেয়েছি সিলেটের আদালতে দায়ের করা মামলায় আসামি আমি। মামলার বাদী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার মো. তুরণ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। যাকে আমি কখনো দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার নথি ঘেঁটে দেখতে পেয়েছি গত ৪ আগস্ট সিলেট নগরীর নাইওরপুলে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুরণ মিয়া বাদি হয়ে ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমাকে ২৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ সেইদিন আমি ছিলাম আমার নিজ উপজেলা তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজারে। সেখানে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছিলাম।’
সিপন বলেন, ‘বাদী তুরণ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। শুধু স্বাক্ষর করেছেন। আমাকে মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে ১ লাখ টাকা দাবি করেন বাদী তুরন মিয়া। আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমি এই মিথ্যা মামলার শিকার। এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাই।’