‘মেঘমল্লার’ নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন মারা গেছেন
‘মেঘমল্লার’ খ্যাত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন আর নেই। গতকাল সোমবার রাতে ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রগ্রাহক মাজহারুল রাজু। এ ছাড়া নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, আকরাম খানসহ অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, লিভারের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন। গত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গেল সপ্তাহে চিকিৎসকরা তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই গুণী নির্মাতা।
২০১৪ সালে কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মেঘমল্লার নির্মাণ করেন অঞ্জন। প্রথম ছবিতেই ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
১৯৯০ সালে আন্তন চেকভের গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মর্নিং’ নির্মাণ করেন অঞ্জন। এটি তার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ২০০৭ সালে বাঙালি চিন্তাবিদ অতীশ দীপঙ্করের জীবনী নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর’।
সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। শুটিং সম্পন্ন হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও নিজের অসুস্থতার কারণে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারেননি।
সর্বশেষ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করতেন অঞ্জন। তিনি বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী, শর্টফিল্ম ফোরামের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র শিক্ষকের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও স্মৃতিচারণ করছেন চলচ্চিত্রের সহকর্মী থেকে শুরু করে অগণিত মানুষ।