আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে: ড. হেলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৮
শেয়ার :
আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে স্থানীয় আবুজর গিফারী কলেজ অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমীর মো. সরোয়ার হোসেন। সঞ্চালনায় করেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সভায় ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার মায়ের ভাষায় কথা বলা আমার জন্মগত অধিকার, কিন্তু এ অধিকার থেকে তৎকালীন শাসকবর্গ আমাদেরকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্র ও যুবসমাজ। যার কারণে আমাদের ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় তারা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষার আন্দোলনের মধ্যেই মূলত এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পেরুলেও এদেশের মানুষ সে আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না। যার যতটুকু ভূমিকা ছিল সেই স্বীকৃতি রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকে দিতে হবে।’

ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভাষা আন্দোলন শুধু নয় ভাষার অধিকারী নয় দেশের স্বায়ত্ত শাসন দাবি করে যে স্মারকলিপি উপাদান করা হয়েছিল সেই সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জি এস অধ্যাপক গোলাম আজম। সেই ইতিহাস স্বীকৃতি আমাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না। স্মারকলিপি যিনি ড্রাফট করেছিলেন, তার নাম হচ্ছে বিচারপতি আব্দুর রহমান এবং মজলিসের (তমুদ্দন মজলিস) পক্ষ থেকে যে আন্দোলনের সূচনা করা হয় সেই মজলিসের প্রধান ছিলেন প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম।’

তিনি বলেন, ‘৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারির শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যের অবসান ঘটানো। এখনো যে সব বৈষম্য আছে সেগুলো দূর করতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে একটি দল এবং গোষ্ঠী সংস্কার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে কিন্তু জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেছেন সারা দেশে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি না থাকায় নাগরিক সেবা দেওয়া সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং বাংলাদেশ জামাত ইসলামী সেই মতকে সমর্থন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায়।’

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ মো. আতিয়ার রহমান ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ মো. তাজিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।