ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে দায়ী থাকবে ছাত্রদল: শিবির সভাপতি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরের কোনো দায় নেই। কুয়েটসহ কোথাও ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে তার জন্য ছাত্রদল দায়ী থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিবির সভাপতি এ কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল দুই-তিন দিন আগ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ঘটনা থেকেই সূত্রপাত হয়েছে। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর বাইরে থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। এর জন্য দায় স্পষ্ট হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি কোথাও সামনে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়, এর জন্য স্পষ্ট, প্রমাণ সহকারে ছাত্রদল দায়ী থাকবে।’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে ছাত্ররাজনীতির কারণে মানুষ হত্যা করতে হয়, যে ছাত্ররাজনীতির কারণে মায়ের বুক খালি হয়, সেই ছাত্ররাজনীতি আমরাও চাই না।’
তিনি বলেন, ‘কুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠনকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। যদি এমন ঘটনা না ঘটত, তাহলে কী আজকে লাল কার্ডের ঘটনা ঘটত? আজকে কী এই অস্থিতিশীল পরিবেশ সারা দেশে তৈরি হতো। তাহলে এর জন্য দায়ী কে? আমাদের ছাত্রদলের সভাপতির ভাষায়, শিবিরের ওপর চালিয়ে দেন।’
‘ছাত্রশিবির একটি গুপ্ত সংগঠন’—ছাত্রদলের এমন অভিযোগের বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৩২টি শাখার প্রতিটিতেই প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সেটআপ সম্পন্ন হয়।’
প্রশ্ন রেখে শিবির সভাপতি বলেন, ‘ওই ১৫ বছরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি যথাসময়ে হয়েছে কি না? বরং আমরা দেখেছি বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রুপিং লবিং হয়েছে। সুতরাং যারা নিজেদের সংগঠনকেই ঠিকমতো চালাতে পারে না তাদের মুখে অন্য সংগঠন নিয়ে এমন মন্তব্য কেবলই হাস্যকর।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার