‘যখন নিজেরাই রক্তের নেশায় মাতে, তখন ভয় লাগে’
ভয় ও আতঙ্কে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিকারের ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচে বেশি হতাশ লাগে।’
আজ বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি এ আতঙ্কের কথা জানান।
পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেন, ‘আওয়ামী আমলে লীগের সাথে অন্য যেকোনো দল/পক্ষের মারামারি লাগলে সেখানে পুলিশ-প্রশাসন নির্লজ্জভাবে লীগের পক্ষে থাকতো। ফলে খুব দ্রুতই অপর পক্ষ রনে ভঙ্গ দিতো।
কিন্তু বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসন বিভক্ত, কোনো রাজনৈতিক দলের একক দৌরাত্ম নেই আপাতত, ডেডিকেটেড মারমুখী কর্মীসংখ্যা কাছাকাছি পরিমানের, সব মিলিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এই মুহুর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায় কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অত্যন্ত ফ্রাস্টেটিং লাগে এসব দেখে। ভয় জিনিসটা কখনো আমি ফিল করিনি কোনো ব্যাপারে, জেদের কারনে নাকি আমার মাথায় সমস্যা জানি না, যেকোনো হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি সবসময়। কিন্তু নিজের ভাইদের যখন দেখি একে অন্যের রক্তের নেশায় মাতে, তখন সত্যিকারের ভয় লাগে, আতঙ্ক লাগে, সবচে বেশি হতাশ লাগে।
এখানে যে পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সে তো আমার ভাইই, ৬ মাস আগেও একসাথে টিয়ারগ্যাস রাবারবুলেট খেয়েছি। এখন এসে তাদের মধ্যে হওয়া গ্যাঞ্জাম কোনোভাবেই বিন্দুমাত্র সুখকর কিছু হতেই পারে না।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির যেভাবে নিজ নিজ অফিশিয়াল প্যাডে একে অন্যের নাম উল্লেখ করে দায় আরোপ ও হুমকিধামকি দিচ্ছে, এটা খুব খারাপ ভবিষ্যৎই ইঙ্গিত করছে সামনে।
আমার মনে হয়, এদের প্যারেন্ট সংগঠনের সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতি জরুরি এবং একান্ত অপরিহার্য। আল্লাহ সবাইকে হিফাজত করুক, সঠিক জ্ঞান-বুঝ দিক। আমিন।’
যদিও এটি আসিফ নজরুলের নিজের লেখা নয়, তবে তিনি আরাফাতুল ওসমানি নামে একজনের লেখা নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন।