বিএনপি-জামায়াত মিলে অ্যাডহক কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন না হওয়ায় অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের মাত্র ছয় দিন আগে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পূর্ণ কমিশন পদত্যাগ করায় অ্যাডহক কমিটি গঠন করার কথা জানান সমিতির নেতারা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম জেলা আইনজীবীর সমিতির নির্বাচন পণ্ড হয়; প্রথমবারের মতো গঠন করা হয় অ্যাডহক কমিটি। তবে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা এই উদ্যোগকে বর্জন করেছেন।
পাঁচ সদস্যের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মকবুল কাদের চৌধুরী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জহুরুল আলম ও রফিক আহমেদ। এদের মধ্যে মকবুল কাদের চৌধুরী, জহুরুল আলম ও রফিক আহমেদ বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সঙ্গে যুক্ত, আর শামসুল আলম ও
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত। এই কমিটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক জানান, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং নতুন নির্বাচন হয়নি। তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এই অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
তবে অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ অনানুষ্ঠানিকভাবে বর্জন করেছে। তাদের অনেক সিনিয়র আইনজীবী মামলার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী জানান, এই কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়াটি একতরফাভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যাকে ভাগাভাগির কমিটি বলে।
আওয়ামীপন্থি পরিষদ থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, অ্যাডহক কমিটির বিষয়ে মত-দ্বিমত নেই। আশা থাকবে কমিটি যেন ৬০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়।
আরও পড়ুন:
হরতাল-অবরোধে শীতের পোশাক ব্যবসায় মন্দা
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ১০ ফেব্রুয়ারি। আলাদা আলাদা প্রার্থীও ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। এই নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। অদৃশ্য কারণে সে কমিশনের সবাই পদত্যাগ করেন। পরে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচনের মাত্র ছয় দিন আগে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পুরো নির্বাচন কমিশন আবারও পদত্যাগ করলে নির্বাচন পণ্ড হয়ে যায়।