জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন একটি ষড়যন্ত্র: মিন্টু
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন একটি ষড়যন্ত্র। আমরা চাই এই সরকার অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। আমরা সংস্কারের নামে টালবাহানা চাই না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এ দেশের জনগণ যাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
আজ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছরে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছে। এমনকি ৬০ হাজারের বেশি মামলা করে লাখ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীকে ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে। এরপরও আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে তারেক রহমানের নির্দেশ মতো রাজপথে থেকেছি, লড়াই করেছি।
মিন্টু বলেন, আমরা বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নানাবিধ কারণে সমাবেশ করছি। আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার। তাই আমরা সকল কাজে এ সরকারকে সহযোগিতা করছি। তবে জনগণের এই অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মোস্তাক মিয়া। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহজালাল মিশন, সদস্য সচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি ও সদস্য সচিব অ্যাড. হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরাসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে চাঁদপুরে এই জনসেবার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। দীর্ঘ বছর পর এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন করায় সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। বেলা ১টার পর থেকেই সমাবেশস্থলে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা।