শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। সংগঠনটির নাম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে কাজ করা, শহিদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
আজ সোমবার বিগত দিনগুলোতে গণমাধ্যমে নিয়মিত এ বিষয়ে মন্তব্য দিয়ে এসেছে এবং গোটা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অবগত, এমন কয়েকজনকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে আহ্বায়ক কমিটিতে নির্বাচিত করা হয়েছে, যারা মূলত শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে।
‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ এর মুখপাত্র ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হচ্ছে শহিদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস, শহিদ লে. কর্নেল ইনশাদ ইবনে আমিনের স্ত্রী ডা. রোয়েনা মতিন, শহিদ মেজর মোসাদ্দেকের স্ত্রী কোহিনূর হোসাইন, শহিদ মেজর মোহাম্মাদ সালেহের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, শহিদ মেজর মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী রিতা রহমান জুলি, শহিদ কর্নেল কুদরত এলাহী রহমান শফিকের সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান, শহিদ লে. কর্নেল লুৎফর রহমানের মেয়ে ডা. ফাবলিহা বুশরা, শহিদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান।
গত ১৬ বছর ধরে শহিদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে কাজ করছে তারই ধারাবাহিকতায় এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহিদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।
কাজের সুবিধার্থে এই মুহূর্তে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপনাদের কাজের প্রয়োজনে সম্মিলিত শহিদ পরিবারের বক্তব্য অথবা স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হলে এই নবগঠিত শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবার জন্যে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?