নিকলীতে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে একাই কাজ করছেন সচিব

নিকলী প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৫
শেয়ার :
নিকলীতে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে একাই কাজ করছেন সচিব

কিশোরগঞ্জে উদ্যোক্তাদের বাদ নিয়ে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের জন্ম ও মৃত্যু সনদের সকল কাজ একাই করছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব। নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল মান্নান এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও সময় মতো সনদ নিতে পারছেন না। ২ উদ্যোক্তাকে তাদের কাজের বাইরে রাখায় সনদ প্রাপ্তিতে বাড়ছে ভোগান্তি।

কারপাশা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা তানিয়া আক্তার ও নাঈম অভিযোগ জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কারপাশা ইউনিয়ন পরিষদে কাজ করছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করার পূর্বশর্ত হিসেবে তারা যথারীতি আবেদনপত্র উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে সুনামের সঙ্গে কাজ করছিলেন। কিন্তু গত ১১ জানুয়ারি কাজ করতে গেলে উদ্যোক্তা তানিয়াকে কাজ করতে নিষেধ করেন সচিব আব্দুল মান্নান। তানিয়া নিষেধের কারণ জানতে চাইলে উপজেলায় যোগাযোগ করতে বলেন সচিব এবং উদ্যোক্তাদের ওটিপি দেওয়া বন্ধ রাখেন তিনি ও প্রশাসক উপজেলা আইসিটি অফিসার এফ,এম নূরুজ্জামান। তবে এক সপ্তাহ পর তাদেরকে কাজ করতে আসিটি অফিসার আবার ওটিপি সরবরাহ করেন। কিছুদিন কাজ করার পর আবারও উদ্যোক্তাদের কাজ বন্ধ করে দেন সচিব ও প্রশাসক নুরুজ্জামান। 

এ সময় উদ্যোক্তারা কারণ জানতে চাইলে, নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা আছে তাই আবারও সকলেই আবেদন করতে হবে এবং জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেন। তারাই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে তালবাহানা করতে থাকেন প্রশাসক নুরুজ্জামান। উপজেলা প্রশাসনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উদ্যোক্তাদের কাজ বন্ধের কারণ জানতে পারেননি তারা। 

এরই মধ্যে সাবেক নারী উদ্যোক্তা চুক্তি ভঙ্গ করে ২০২৩ সালে ডিজিটাল সেন্টারের সেবা গ্রহীতাদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও অর্থ আত্মসাৎ করে সহকর্মী শরিফুলে সঙ্গে বিয়ে করে বিদেশে পারি জমান। দীর্ঘদিন পর প্রবাস থেকে ফিরে শরিফুল সচিব, প্রশাসক ও প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঐ উদ্যোক্তাসহ আরও ৩ জনের আবেদন নিয়েছেন প্রশাসক নুরুজ্জামান। তবে এই আবেদন এখনো উপজেলা প্রশাসনে জমা দেওয়া হয়নি। এ সুযোগে ইউপি সচিব অতিরিক্ত টাকা নিতে একাই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

পরিষদে উদ্যোক্তাদের বাদ দেওয়া বা পরিবর্তন করা নিয়ে কোনো ইউপি সদস্য অবগত নয় বলে জানিয়েছে একাধিক সদস্য। হঠাৎ করে উদ্যোক্তাদের কাজ বন্ধ রাখায় জানুয়ারি মাস থেকে সেবা গ্রহীতারা চরম দুর্ভোগ পড়েছেন। 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খাঁন জানান, উদ্যোক্তাদের নিয়োগ ও সুযোগ-সুবিধা স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেখেন। তাতে তার কোনো হস্তক্ষেপ নেই।