বিএনপির বিরোধে রাউজানে পড়ছে একের পর এক লাশ
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির কোন্দল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেওয়ার পর থেকে নিয়মিতই রক্ত ঝরছে সেখানে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে উপজেলায় ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ বলেছে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের ফল এ ঘটনা।
গুলিবিদ্ধ পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাবু (৩৮) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সদস্য। তার বাড়ি রাউজান সদর ইউনিয়নে। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বাবু দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বাবু চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা, উনি এখন বিএনপি করেন, ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন ব্যবসা করেন, ওনাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে আহত করেছে। কারা গুলি করেছে, সেটা আমরা এখনও পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারিনি। তবে দলীয় অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ অথবা ব্যবসা-টাকার বিরোধে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর রাউজানে ব্যাপক হারে
চাঁদাবাজি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সাম্রাজ্য রাতারাতি ভাগাভাগি করতে গিয়ে বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ান। রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত তিনজন খুন হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে শোকজও করে। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি রাউজানের।
আগামী সংসদ নির্বাচনে গোলাম আকবর খোন্দকার ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। দুইজনই এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। নিজেদের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়েই প্রতিদিন দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন।