বহরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২ কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারের আশরাফ হোসেন লুলু মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় বাজারের আশরাফ হোসেন লুলু সুপার মার্কেটের শ্যামল কুমার মোদকের মুদি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। এ সময় আশপাশের দোকানদারসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। পরে একজন দোকানি জাতীয় পরিসেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ৮-৯ মিনিটের মধ্যে বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এসে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে মার্কেটের তিনটি মুদি দোকান, ১টি গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকান), ১টি সাইকেল পার্টসের দোকান, ১টি খাবারের হোটেল, কয়েকটি কাঁচা তরকারির আড়ৎসহ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে মার্কেটের ঘরসহ ব্যবসায়ীদের আনুমানিক প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, আনুমানিক ১০-১৫ লাখ টাকার মালামাল তারা উদ্ধার করা গেছে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারগণ হলেন মো. আশরাফুল হোসেন লুলু (গার্মেন্টস কাপড়ের দোকান), শ্রী শ্যামল কুমার মোদক (মুদি দোকান), তারেক বিশ্বাস (হোটেল), মো. কাউছার হোসেন (কাঁচামালের আড়ৎ), মো. সাইদুল মোল্লা (কাঁচামালের আড়ৎ), মজিদ মন্ডল (মুদিখানা ও আদার আড়ৎ), মো. হারেজ (কাঁচামালের আড়ৎ), মো. কালু (কাঁচামালের আড়ৎ), মো. আবুল কালাম আজাদ (মুদিখানা দোকান) মো. সেলিম বিশ্বাস (সাইকেল পার্টস দোকান), শ্রী সুশান্ত শিকদার (খাবার হোটেল) ও মো. পলাশ শেখ (কাঁচামালের আড়ৎ)।
বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সৈয়দ শরাফত আলী তুহিন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করি। তবে পানির ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। তবে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’
এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্য মতে জানা গেছে, শ্রী শ্যামল কুমার মোদকের মুদি দোকান থেকেই নাকি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।