মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করেছে। গত রবিবার সহিংসতাপ্রবণ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।
উত্তরসূরি নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রায় দুই বছর পর এবং বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। বিরোধীরা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল।
প্রায় ২১ মাসের জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে ২৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানচ্যুত হয় হাজারো মানুষ।
ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, রাজ্য সরকার অনাস্থা প্রস্তাব এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোর টেস্টের মুখোমুখি হওয়ার ঠিক একদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
গত রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বীরেন সিংকে। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বীরেনের সঙ্গে বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) ১৪ জন বিধায়ক ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছিল, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন বীরেন সিং। সে কারণেই ১৪ জনের বেশি বিধায়ককে অমিত শাহর বাসভবনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরেন সিং সাংবাদিকদের জানান, তিনি মণিপুরে ফিরে পদত্যাগ করবেন।
ভারতের স্বাধীনতা–পরবর্তী ইতিহাসে বীরেন সিংয়ের সময়কালকে মণিপুরের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সময় হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে ভারতের সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদদের একাংশ।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস