‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর নৃত্য, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
রাজবাড়ীর কালুখালীতে একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের সঙ্গে নৃত্যের ঘটনা ঘটেছে। গানটির সঙ্গে এক ছাত্রীর নৃত্যের ১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রিজাউল ইসলামকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন কালুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার।
গত মঙ্গলবার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া (ডিবিপি) উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
নোটিশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার বলেন, দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া (ডিবিপি) উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ গানে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। বিষয়টি ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে হতাশ করেছে। এ কার্যকলাপে কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সাউন্ড বক্সে বাজছে ‘দে তালি, বাঙালি, আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন। জয় বাংলা বাংলার জয়, জয় বাঙালির জয়’। এ গানের সঙ্গে এক ছাত্রী জাতীয় পতাকা হাতে নৃত্য করছে। এ সময় গানের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের অংশ বাঁজতে শোনা যায়।
কালুখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মহুয়া আফরোজ বলেন, বিদ্যালয়ে ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্সে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান বাজানোর বিষয়টি নজরে এসেছে। প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া (ডিবিপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রিজাউল ইসলাম বলেন, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী তার নিজের মোবাইলে ওই গান বাজিয়ে নৃত্য শুরু করেছে। ওই গান বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটি বন্ধ করে দিয়েছি। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে শেখ মুজিবের ভাষণের অংশ এডিটিং করে লাগানো হয়েছে।