মামলা করে যা বললেন কাফি
বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় জড়িতদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে আইনের আওতায় না নিয়ে আসলে বিপ্লবী সরকার গঠনের ডাক দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন কনন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি। বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে কলাপাড়া থানা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন কাফি। মামলার এজাহারে অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ উল্লেখ করেছেন তিনি।
কাফি বলেন, ‘যারা ঘর পুড়িয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় না আনা হলে আমি নিজে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেব। আগামী সাত দিনের মধ্য জড়িদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই উপদেষ্টা সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে রাজপথে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ধানমন্ডির-৩২ নম্বর বাড়ি গুড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ আজ আমার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে চার মাসের শিশু সন্তানসহ পরিবাররের সবাই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগষ্টে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। আমি দেশ ও দেশের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য কথা বলেছি। সর্বশেষ বুলডোজারের ওপরে অবস্থান করে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার ঘোষণা দিয়েছি। হয়তো এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া উপজেলা টিয়াখালি গ্রামের বাড়িটি টার্গেট করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের লোকজন পুড়িয়ে দেয়। কোনো ধার্য পদার্থ ব্যবহার করে নিমিষেই বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আমার মা-বাবা, ভাই-ভাবি এবং চার মাসের ভাতিজাকে ঘরের ভেতরে আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি হয়তো ঢাকায় অবস্থান করায় প্রাঁণে বেঁচে গেছি। বাড়ির আঙিনায় এখন শুধু কয়লার স্তুপ রয়েছে। আমি সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
কাফি আরও বলেন, ‘আজ আমি শিকার হয়েছি। আগামীকাল জুলাই-আগস্টে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া আমার সহযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিতে পারে। এই ভয় থেকে আমি বর্তমান সরকারকে আল্টিমেটাম দিতে চাই, জুলাই-আগস্টে অংশ নেওয়া আমার মত কোন সহযোদ্ধা যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই জীবন বাজি রেখে সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাই এই সরকারকে আমি ও আমার সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ আমি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছি। তাদের কাছে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছি। আগামী ৭ দিনের মধ্য যদি প্রশাসন জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়, তা হলে আমি একাই রাজপথে লড়াই করে বিল্পবী সরকারের ডাক দেব। ’
অপরদিকে গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি একটি আবেদন করেছেন তিনি। ওই আবেদনে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিজে অংশ থাকার বিষয়টি দাবি করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন কাফি।