কৌতূহল বাড়াল ’ঘুমপরী’র ফার্স্টলুক

বিনোদন প্রতিবেদক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪১
শেয়ার :
কৌতূহল বাড়াল ’ঘুমপরী’র ফার্স্টলুক

ভালোবাসায় মোড়া এক গল্পে নির্মিত ‘ঘুমপরী’। কেমন সেই গল্প? জানতে আর অল্প কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় চরকিতে আসছে ওয়েব ফিল্মটি। তার আগে কিছু ধারণা দিয়েছে ‘ঘুমপরী’র ফার্স্টলুক। যেখানে উঠে এসেছে চরিত্রদের বিভিন্ন মুহূর্ত ও অনুভূতি।

জাহিদ প্রীতমের পরিচালনায় ওয়েব সিনেমাতে অভিনয় করেছেন প্রীতম হাসান, তানজিন তিশা, পারশা মাহজাবীন। তাদের দেখে ধারণা করা যায়, চরিত্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পারশাকে দেখা গেছে চিকিৎসকের অ্যাপ্রোনে। বিভিন্ন মুহূর্তে চরিত্রগুলোর আবেগ-উদ্বিগ্নতা কৌতূহলী করে তুলেছে দর্শকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লিখছেন, ‘অপেক্ষায় আছি’।

‘ঘুমপরী’তে কাজ করা প্রসঙ্গে প্রীতম হাসান বলেন, ’কাজটা করব কিনা, প্রথম দিকে এটাই ভাবছিলাম। এত ইমশোনাল স্ক্রিপ্টে চরিত্রটা হয়ে উঠতে পারব কিনা, সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল। পরে আমি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমার চরিত্রকে একভাবে দেখছিলেন, আমি দেখছিলাম ভিন্নভাবে। আলোচনার পর আমরা একটা কমন পয়েন্টে আসতে পারি এবং কাজটিতে যুক্ত হই। ম্যাজিক্যাল অনেক মুহূর্ত আছে পুরো গল্পটিতেই।’

’ঘুমপরী’র মাধ্যমে চরকির সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলের তানজিন তিশা। যদিও নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের সঙ্গেও বেশ কিছু কাজ করেছেন অভিনেত্রী, যা পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তাও। তিশার কথায়, ‘জাহিদ প্রীতম ভাই যখন গল্প বলেছিলেন, তখনই আমার ভালো লেগে যায়। আমি অনেক রকমের কাজ করেছি, এখন আমার এমন কাজ লাগবে, যা একটু আলাদা। “ঘুমপরী” তেমনই একটা গল্প। তাছাড়া চরকির সঙ্গে এমন একটা কাজ দিয়ে আমার শুরু হতে পারে বলে মনে হয়েছে। আমি তো পারফরমেন্সের জায়গা খুঁজি, এখানে সেটা পেয়েছি। কনসেপ্টটা খুব ভালো লেগেছে। দর্শকরা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’

পারশা মাহজাবীন জানান, তার পছন্দের জনরার গল্প এটি। তাই বেশি ভাবতে হয়নি। স্ক্রিপ্টটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভালো লেগে যায়। তিনি বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইনে সাধারণত এমন কাজ চোখে পড়ে না। এখানে কাজ করাটা আমার জন্য কঠিনই ছিল বলতে হবে, কারণ আমার দুই ধরনের চরিত্র করতে হয়েছে। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।’

গত সোমবার প্রকাশ হয় ’ঘুমপরী’র ‘মন্দ হতো না’ গানের টিজার। গানের ’তুমি আমার হলে মন্দ হতো না’ ইতিমধ্যেই শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। গানটি গেয়েছেন তরুণ সংগীতশিল্পী অন্তু দাস। মেহেদী হাসানের কথায় গানটির সুর-সংগীত করেছেন কণ্ঠশিল্পী নিজেই।

দর্শকদের উদ্দেশে নির্মাতা জাহিদ প্রীতম জানান, তিনি একটি শুদ্ধ ভালোবাসার গল্প বলতে চেয়েছেন। তিনি আশা করছেন, সব বয়সী দর্শকই কাজটি পছন্দ করবেন।