পরকীয়ার জেরে দিনমজুরকে গুম-খুন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৯
শেয়ার :
পরকীয়ার জেরে দিনমজুরকে গুম-খুন

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দিনমজুর শামসুল (৪০) হাওলদারকে পরকীয়া প্রেমের জেরে গুম ও খুন করা হয়েছে।

গত সোমবার দিবাগত রাতে ১০ দিন পর জেলার উপজেলার ব্রাহ্মনখোলা গ্রামে পুকুর পাড় থেকে কচুরিপানার ভেতর লুকানো অবস্থায় দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় শ্রীনগরের ব্রাহ্মনখোলা গ্রামের জাফর খানের স্ত্রী রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের কাছে তিনি ওই দিনমজুরের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। 

নিহত দিনমজুর শামসুল হাওলাদার জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল গ্রামের মনু হাওলাদারের ছেলে।  

পুলিশ জানান, গত ৩১ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন দিনমজুর শামসুল হাওলাদার। এতে ৩ ফেব্রুয়ারি দিনমজুরের খালা কোহিনুর বেগম সিরাজদিখান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সোমবার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জেলার শ্রীনগর উপজেলার ব্রাহ্মনখোলা গ্রামের জাফর খানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪২), তার ছেলে জিহাদ খান (২৩) ও মেয়ে সিনথিয়া আক্তারকে (১৬) আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীনগর ব্রাহ্মনখোলা গ্রামের মজিদ খানের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে কচুরিপানার ভেতর লুকানো অবস্থায় দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক সাইউল ইসলাম জানান, আটককৃত নারী রহিমা বেগম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন দিনমজুর শামসুল হাওলাদারের সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে যান দিনমজুর শামসুল হাওলদার। এ সময় তার স্বামী জাফর খান দেখে ফেলেন। এক পর্যায়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে পুকুরের পাড়ে হোচট খেয়ে হুমড়ি পড়ে যান শামসুল। পরবর্তীতে মৃত ভেবে কচুরিপানার ভেতর গুম করেন তারা। 

সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যা ও লাশ গুমের কথা স্বীকার করেছেন।

আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শ্রীনগর ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।