তসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে মেলায় হট্টগোল, যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:২৫
শেয়ার :
তসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে মেলায় হট্টগোল, যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী

বিতর্কিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি হচ্ছিল বইমেলার ‘সব্যসাচী’ স্টলে। বিষয়টি জানতে গেলে দর্শনার্থীদের জঙ্গী আখ্যা দিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন স্টলে থাকা শতাব্দী ভব নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে হট্টগোল হয়।

ঘটনাটি নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।  

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা লেখেন, ‘গতকাল বাংলা একাডেমীতে যে ঘটনা ঘটেছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ঘটনার সময় আমি ফ্লাইটে ছিলাম। নামার পর থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি এবং ঘটনার সব রকম ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ সংগ্রহ করেছি। একাডেমি ইতিমধ্যে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তিন কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য- এ ধরনের ঘটনা মেলা প্রাঙ্গনে আর ঘটতে দেয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই সব রকম উস্কানিমূলক আচরন থেকে বিরত থাকি।’

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সব্যসাচী স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সেখানে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এ সময় সেখানে বসা ছিলেন শতাব্দী ভব। তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রির কারণ জানতে চাইলে দর্শনার্থীদের তিনি জঙ্গী আখ্যা দিয়ে হাত উঁচিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন। এতে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়।

হট্টগোলের সময় ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না’, ‘স্বৈরাচারের দালালেররা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন দর্শনার্থীরা। তোপের মুখে দর্শনার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন শতাব্দী ভব। পরে স্টলটি বন্ধ করে শতাব্দী ভবকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

আরমান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘আমরা এখানে এসে দেখতে পেয়েছি সব্যসাচী স্টলে ওপেনে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করছে। পরবর্তী সময়ে আমরা কারণ জানতে চাইলে ওই লোক (শতাব্দী ভব) আমাদেরকে জঙ্গী বলে এবং জয় বাংলা স্লোগান দেয়।’

রাজধানীর রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শতাব্দী ভবকে আমরা জিম্মায় নিয়েছি। তার প্রকাশনায় যদি নিষিদ্ধ বই থাকে তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তার স্টল বন্ধ থাকবে।’