শ্বশুরবাড়ির দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাইয়ের বাড়ি হামলা
পটুয়াখালীর বাউফলে শ্বশুরবাড়ির দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করায় জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলা দাশপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দাশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জামাইয়ের নাম পারভেজ মাতব্বর (২৭)। তার অভিযোগ, নিজ স্ত্রীর বড় ভাই সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন এ হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের মারধরে তিনিসহ তার মা হালিমা বেগম (৪৫) ও বোন তানজিলা ইসলাম (১৯) আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার জমিতে চাষাবাদ করার সময় পাওয়ার টিলার উল্টে চাপা পড়ে নিহত হন ভুক্তভোগী পারভেজ মাতব্বরের শ্বশুর মানিক রাঢ়ী। ঘটনার দিন রবিবার নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সাকিল রাঢ়ী তার ভগ্নিপতি পারভেজকে দাওয়াত করেছিলেন। কিন্তু পূর্বের মনমালিন্যতার কারণে অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন সাকিল। বিষয়টি নিয়ে সাকিল তার কাছে জবাবদিহিতা চান। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তখন সাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন পারেভেজ মাতব্বরের বাড়ি এসে তার বসতঘরে হামলা চালায় এবং ঘরের দরজা ভেঙে আসবাবপত্র, থালাবাটি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পারভেজ মাতব্বর জানান, স্ত্রী মীম আক্তারের সঙ্গে তার মনমালিন্য চলছে। মনমালিন্য থাকায় মীম বাবার বাড়ি চলে গেছে। এ কারণে অভিমান করে তিনি শ্বশুরের দোয়া ও খাবার অনুষ্ঠানে যাননি। তার সম্বন্ধী সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং তাকেসহ তার মা ও বোনকে মারধর করে।
অভিযুক্ত সাকিল রাঢ়ী বলেন, ‘ছোটবোন মীম আমাদের বাড়ি থাকে। সকালে মীম বাবার দোয়া ও খাবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে তার শ্বশুরবাড়ি গেলে আমার ভগ্নিপতি মীমকে মারধর করে এবং আটকে রাখে। পারভেজ নিজেই তার ঘরে ভাঙচুর করে এখন আমাদের ওপর অভিযোগ তুলছে। আমি খবর পেয়ে ওই বাড়ি গিয়ে ছোটবোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।