অবৈধভাবে কাজ করায় যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার ৬০৯ অভিবাসী
যুক্তরাজ্যের অবৈধভাবে কাজ করায় ৬০৯ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। আজ সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা জানান, নতুন লেবার সরকারের অবৈধ অভিবাসন এবং মানব পাচারকারী চক্র মোকাবেলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে জানুয়ারিতে ৬০০ জনেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো জানা যায়নি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় এই গ্রেপ্তার ৭৩ শতাংশ বেশি। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারিতে ৬০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৩৫২ জন ছিল। নেইল বার, রেস্তোরাঁ, কার ওয়াস এবং দোকানসহ ৮০০টিরও বেশি স্থানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
গত বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে নকিয়ার স্টারমার। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাৎক্ষণিকভাবে তার রক্ষণশীল পূর্বসূরী ঋষি সুনাকের যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত অভিবাসন রোধ করার পরিকল্পনা বাতিল করে নতুন আগতদের রুয়ান্ডায় নির্বাসিত করেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, নিয়োগকর্তারা অনেক দিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করছেন। অনেক লোক অবৈধভাবে এসে কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্বে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে পার পেয়ে যাওয়া অপরাধী চক্রগুলোকে ধ্বংস করার জন্য আমরা নতুন কঠোর আইনের পাশাপাশি রেকর্ড মাত্রায় আইনের প্রয়োগ বৃদ্ধি করছি।’
ছোট অনিরাপদ নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে উত্তর ফ্রান্স থেকে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে আগত অবৈধ অভিবাসী গত জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু ছিল যা স্টারমারের লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় এনেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে চ্যানেলে প্রায় ৩৬ হাজার ৮১৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল, যা ২০২৩ সালে আসা ২৯ হাজার ৪৩৭ জনের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস