শিবির মেধাবীদের সংগঠন: শিবির সভাপতি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, 'চব্বিশের আন্দোলনে দুই হাজার শহীদ ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হওয়ার বিনিময়ে সফলতা এসেছে। এই সফলতার প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। তবে আমরা সবাই এই আন্দোলনের সামনে ছিলাম। শিবির মেধাবীদের সংগঠন, যা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চায়।'
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালী শহর শাখা আয়োজিত 'ইবনে আউফ কমার্স কার্নিভাল-২৫' পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছর ধরে ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি মাদরাসাগুলোতেও স্বনামে দাওয়াত দেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। ছাত্রসমাজ থেকে দূরে রাখতে শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।'
তিনি অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সমালোচনা করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'কিছু সংগঠন নিজেদের বড় মনে করলেও তাদের কার্যক্রমে নৈতিক চরিত্র গঠনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে, ছাত্রসমাজের জন্য শিবিরকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে হবে।'
শিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ''মেধা ও সততায় গড়বো সবার বাংলাদেশ' আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। সবাই সমান সুযোগ পাবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।'
ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখা আয়োজিত 'ইবনে আউফ কমার্স কার্নিভাল-২৫'-এ ৪০টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, যেখানে মোট ১১০ জন প্রতিযোগী ছিল। অনুষ্ঠানে বিজনেস আইডিয়া, বিজনেস কুইজ, রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা, ফটো গ্যালারি, মেডিকেল বুথ, রেজিস্ট্রেশন বুথ, সমর্থক বুথ, সিগনেচার বুথসহ নানা আয়োজন ছিল। এছাড়া, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, কেন্দ্রীয় ব্যবসা বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট রাকিব আবদুল্লাহ, মো. আহমাদুল্লাহ আজিজি, ডা. সাইফুল্লাহ সাঈফ, মো. জামসেদুল ইসলাম।