বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) কৌশলে পরিত্যক্ত ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় ওই কিশোরীর চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে প্রতিবাদ করায় মা ও ফুপুকে মারধর করে আহত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে হোসেন হাওলাদার (২৮) নামে এক ব্যক্তি কৌশলে ওই মেয়েকে ডেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে এদিন রাত ১১টার দিকে ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেছেন। মারামারির ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধর্ষককে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হোসেন পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার রাতেই পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর কিশোরীর মা উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়িতে যান। সেই সুযোগে হোসেন হাওলাদার (২৮) নামে এক ব্যক্তি কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার মেয়ের চিৎকার শুনে তিনি ছুটে গিয়ে বাড়ির পাশে ওই পরিত্যক্ত ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় তার মেয়ে ও হোসেনকে দেখতে পান। তখন হোসেন দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করায় ও বিচার দাবি করলে হোসেনের বাবা ও ভাই তাকে (কিশোরীর মা) ও তার মেয়ের ফুপুকে মারধর করে আহত করেন এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তারা।
এদিকে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে, ধর্ষণ পরবর্তী মারধরের ঘটনায় হোসেনের বাবা সেলিম হাওলাদার ও ভাই হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।