সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর, আহত ১৫
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের সময় স্থানীয়দের হামলায় ১৫ থেকে ১৭ জন ছাত্র-জনতার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার রাত দশটায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন খান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র জনতার ১৫০ জন হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ সময় বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে ডাকাতের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় প্রায় ১৫ থেকে ১৭ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
ওই মুহূর্তে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার টঙ্গী প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাকেও ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন তারা।
সংবাদ পেয়ে মধ্যরাতে সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুরের তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে মারধর করেছেন। ১২ থেকে ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের মধ্যে একজন জানান, আক্রমণকারীরা ডাকাতের গুজব ছড়িয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, আমরা লুটপাট, হামলা ও ভাঙচুর থামাতে আসছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শুনেন নাই। তারা পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তাদের হাতে থাকা রাম দা, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। আমরা ধারনা করছি, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার রাত ২টা ১৩ মিনিটে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে লিখেন, গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি..।