সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বাড়ি ও গাড়িতে আগুন

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:২২
শেয়ার :
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বাড়ি ও গাড়িতে আগুন

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পতিত ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইভে এসে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই স্বপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। 

এদিকে একই রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার বাড়িতেও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত হয়ে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলে শেখ হাসিনা সরকার তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ ছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ্ অপসারণ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়াসহ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনে ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পালিয়ে কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

অভিযোগ রয়েছে, দুই মেয়াদে তিনি এমপি ও প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন একটি বলয়। তার বিরুদ্ধে নিজ দলের মধ্যেও ছিল চরম ক্ষোভ। মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানীর ও হত্যা মামলা রয়েছে।