দেশের মানুষ প্রতিদিন ২০০ এমএল বিষ খাচ্ছে: ড. সালমা
সভাপতির বক্তব্যে ড. সালমা লাইজু বলেন, জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহারের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিদিন ২০০ এমএল বিষ খেতে হচ্ছে। অথচ পোকামাকড় মারার জন্য কৃষকরা জমিতে ব্যবহার করছেন এই কীটনাশকের বিষ। কিন্তু সেই বিষ খাবারের সাথে মানুষের শরীরে চলে যাচ্ছে।
নেত্রকোনার বারহাট্টায় মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্দ্যোগে আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টার সময় উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের স্বল্প দশাল ব্লকের কদম দেউলি গ্রামে নান্নু মিয়ার বাড়ির পাশে খোলা মাঠে এই আলোচনা সভা হয়।
উক্ত কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনার সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সালমা লাইজু বলেন, জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহারের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিদিন ২০০ এমএল বিষ খেতে হচ্ছে। অথচ পোকামাকড় মারার জন্য কৃষকরা জমিতে ব্যবহার করছেন এই কীটনাশকের বিষ। কিন্তু সেই বিষ খাবারের সাথে মানুষের শরীরে চলে যাচ্ছে। কৃষকরা যদি সচেতন না হন তাহলে দিনের পর দিন আরো বিপদ হবে। তাই ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি করে উন্নত ফসল উৎপাদন ও সুস্থ জীবনের দিকে যাওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
এ সময় ক্ষতিকর পোকামাকড় নিধনের জন্য সকল কৃষকের বাড়িতে নিম গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) রাকিবুল হাসান, বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টুম্পা দত্ত, স্বল্প দশাল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন মনিরসহ অন্যান সকল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ২৫০ জন কৃষক-কৃষাণী।