ভেঙে ফেলা হলো শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি ‘বাইতুল আমান’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি ‘বাইতুল আমান’ ভেঙে ফেলেছে বিএনপি নেতাকর্মী ও বিক্ষুব্ধ জনতা। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অবস্থিত ভবনটি ভেকু দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
এ সময় বিএনপির নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আহ্বায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবের মুরাল ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বিকেলে শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি বাইতুল আমান ভেঙে ফেলার কথা বলেন। পরে রাত আনুমানিক ৭টার দিকে তাদের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে চাষাড়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংলগ্ন বাড়িটির সামনে এসে উপস্থিত হয়।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মী এবং বিক্ষুব্ধ জনতা প্রথমে হ্যামার দিয়ে দেওয়াল ভাঙা শুরু করেন। আরেক দল বাড়িটির মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান। পরে ভেকু দিয়ে বাড়িটির সিমানা দেওয়াল ও ভবনের দেওয়াল ভাঙা হয়।
একপর্যায়ে বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় আগুন দেওয়া হয়। এ দিকে বাড়িটি যখন ভাঙা হচ্ছিল, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। সেই সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্যদের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
কথিত আছে শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর এই বাড়ি বাইতুল আমানে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়।
এছাড়াও জানা যায়, খান সাহেব ওসমান আলী ১৯৪০ সালের লাহোর রেজোলিউশনের ভিত্তিতে পাকিস্তান আন্দোলনের সূচনার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে এই আন্দোলনের আয়োজন করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকার পঞ্চম ও শেষ নবাব খাজা হাবিবুল্লাহকে পরাজিত করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের দ্বারা খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত হন, যা তিনি ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ রাজ নীতিমালার জন্য বাতিল করেছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ বড় আন্দোলন, আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যুত্থানে জড়িত ছিলেন।