নিখোঁজের এক দিন পর মিলল অটোরিকশাচালকের মরদেহ
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিখোঁজের একদিন পর তরমুজ ক্ষেতের টঙঘর থেকে মহিউদ্দিন ঈসা (১৯) নামের এক অটোরিকশা চালকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড চাঁদপুরা গ্রামের রুহিতপুর এলাকায় নাসির হাওলাদারের তরমুজ ক্ষেত সংলগ্ন একটি টঙঘরের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয়রা ওই টঙঘরের মধ্যে খড়কুটা দিয়ে ঢাকা মানুষের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন এবং আশেপাশে রক্ত দেখতে পান। বিষয়টি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যকে জানান তারা। পরে ওই জনপ্রতিনিধিরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি সুরতহাল করে পুলিশ।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ইউনিটের একটি দল এসে মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ওইদিনই সন্ধ্যায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
মহিউদ্দিন ঈসা জেলার পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত প্রায় ছয় মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল।
স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ঈসা। সন্ধ্যা ৭ টার দিকেও বাড়িতে না ফিরলে কল করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে ও পরের দিন বুধবার সকাল থেকে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে বিকেল ৪ টার দিকে বনানী মোড় এলাকায় লোকজনের কাছে জানতে পারেন তারা ফেসবুকে দেখেছে দশমিনার আলীপুরা ইউনিয়নের রুহিতপুর এলাকায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে ঈসার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানায়, মরদেহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অনেকগুলো কোপের দাগ ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দা, এক জোড়া জুতা, মরদেহের পকেট থেকে অটোরিকশার চাবি ও রাস্তায় পড়ে থাকা অটোরিকশাটি জব্দ করেছে পুলিশ।
দশমিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহামুদুল হাসান আমাদের সময়কে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।