কথা বলাই ছিল আমার অপরাধ: শেখ সাদী খান
‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, ‘জীবন মানে যন্ত্রণা নয় ফুলের বিছানা’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘তুমি রোজ বিকেলে’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার-সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। তাকে বাংলাদেশের সংগীতের জাদুকরও বেলা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলা গানকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রায় ১৬ বছর ধরে তার পরিকল্পনা ও গবেষনায় ‘স্মৃতিময় গানগুলো’ অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়ে আসছিল। মাঝে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার সম্প্রচারে আসে এটি। তবে অনুষ্ঠানটিতে আর ছিলেন না এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। তাকে বাদ দিয়েই নতুন আঙ্গিকে এটি প্রচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
সম্প্রতি এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে শেখ সাদী খান বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি আমি ২০১৬ সাল থেকে পরিকল্পনা ও গবেষনা করছি। জানুয়ারি থেকে আমাকে অনুষ্ঠানটি থেকে বিরত থাকলে বলা হয়েছে। শিল্পীদের অধিকার ও দাবী দাওয়া, বিটিভির নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলছিলাম দীর্ঘদিন। ফলশ্রুতিতে বিটিভির অনেক কর্মকর্তাকে সরে যেতে হয়েছে। তবে আসল যারা কলকাঠি নাড়ছিলেন তারা রয়েছে গেছেন। ওই মানুষরাই আমাকে সরানোর কাজটি করেছেন। আমার পরিকল্পিত অনুষ্ঠান থেকে আমাকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে? এমনকি অনুষ্ঠানে আমার কোনো গানও যায় না। বিটিভি আমাকে বিচ্ছন্ন করে রেখেছে। যারা চিন্তাধারায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে তাকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
তিনি আরও বলেন, ‘মাঝখানে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন সেটার প্রতিবাদ করেছিলাম, আন্দোলন করেছিলাম। হয়ত সেটার ফলস্বরূপ অনুষ্ঠানটি একবার বন্ধ হয়েছিল। আবার চালু হলো অনুষ্ঠানটি। অথচ আমি নেই! যে শিল্পী, সুরকার ও গীতিকাররা হারিয়ে গেছেন তাদের এ প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই আয়োজন শুরু করেছিলাম। আর শিল্পীদের দাবী-দাওয়ার কথা বলাই কি আমার অপরাধ ছিল? আমি তো কোনো দলও করি না। আমাকে কেন বিরত রাখা হবে? বিটিভি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এটি আশা করিনি।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’