ধানমন্ডি ৩২ নম্বর /

ধ্বংসস্তূপে যে যা পাচ্ছেন নিয়ে যাচ্ছেন

অনলাইন ডেস্ক
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৬
শেয়ার :
ধ্বংসস্তূপে যে যা পাচ্ছেন নিয়ে যাচ্ছেন

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পেছনে ছয়তলা ভবনটি ভাঙার কাজ চলছে। এরই মধ্যে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র যে যা পাচ্ছেন নিয়ে যাচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের অনেক অংশই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভবনটির ভেতর থেকে হাতুড়ির আঘাতে নানা কিছু ভাঙার শব্দ শোনা যাচ্ছিল, ঠিক ওই সময় পেছনের ছয়তলা ভবনের ভেতর শত শত মানুষ ঢুকে পড়েন। এদের মধ্যে অনেকেই ভেতর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন। 

দেখা গেছে, ওই ভবন থেকে যেসব জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বেশির ভাগই শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখা কিংবা পরিবারের সদস্যদের লেখা বই রয়েছে। কারো হাতে কয়েকটি করে বই, আবার কেউ এসব বইয়ের কার্টন নিয়ে বের হচ্ছিলেন।

এসব বইয়ের মধ্যে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভলিউম-৩’, ‘জনসমুদ্রে এক মহামানব’, ‘জাতির জনক ও শেখ রাসেল’ ইত্যাদি রয়েছে।

বই ছাড়াও স্টিল, লোহা ও কাঠের নানা কাঠামো ভেঙে অনেকেই যে যার মতো নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া কয়েকজনকে স্টিল ও লোহার কাঠামো ভবন থেকে ভেঙে ভেঙে নিচে ফেলতেও দেখা যায়। নিচে থাকা কয়েকজন এগুলো রিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে, লোহালক্কড় নেওয়া মানুষদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ।

এ সময় লোহার কিছু কাঠামো নিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে এসব নিয়ে কী করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, বিক্রি করে দিমু। সেই টাকায় ভালোমন্দ খামু। মুরগি পাইলে মুরগি, গরু মাংস পাইলে গরু মাংস কিনে খামু। এই ছাড়া আর কিছুই না।’

শেখ মুজিবের ভাঙা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘এই মহিলা (শেখ হাসিনা) নিজের জিদ দিয়ে দলটাকে একেবারে শেষ কইরা দিয়া গেল।’

এদিকে সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটির সামনে শত শত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ ভিডিও করছিলেন, আবার কেউ ছবি তুলছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল রাত ৯টায় নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।