হাসপাতালে উপস্থিত না থেকেও বেতন তুলতেন ১৬ নার্স
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ জন নার্সের সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনের ঘটনায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে ১২টার দিকে দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে অভিযানে দুদকের অন্তত ১০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
এর আগে দায়িত্ব পালন ছাড়াই হাসপাতালটির ১৬ জন নার্সিং কর্মকর্তার সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি নজরে আসে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের। এ বিষয়ে নোটিশ জারি করে অভিযুক্তদের বেতন-ভাতা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়।
আজ দুপুর ১২টার দিকে দুদকের একটি টিম প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। পরে তারা হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেনডেন্ট মোসাম্মৎ রিনা বেগম, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. মাহবুবুল আলম, উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেন।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত জানান, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ জন নার্স কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সরকারি বেতন ভাতা তুলে নিয়েছেন। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের আর কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
অধিকতর অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর বলেন, ‘দুদকের দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
অভিযুক্ত ১৬ নার্সিং কর্মকর্তা হলেন, সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. ইউসুফ, মো. আব্দুর রহমান, লিপি রানী, আওলাদ হোসেন মাসুম, জাহেদ আহমদ, এমএফকে জান্নাত, একরামুল হক, রুনা, কামরুন্নাহার, ঝিলি ধর, মোহাম্মদ আলী আশরাফ, মো. শাহিন মিয়া, শামীমা জান্নাত, জান্নাতুল ফেরদাউস, মোছা. শিরীন সুলতানা ও লাভলী বেগম।
