আর-২২ গ্যাস আমদানিকারক সিন্ডিকেট ভাঙতে আরএসি মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ
রেফ্রিজারেটর এবং এসিতে ব্যবহৃত আর-২২ গ্যাস আমদানীকারকদের সিন্ডিকেট ভাঙতে বাংলাদেশ আরএসি মালিক শ্রমিক কল্যাণ এসোসিয়েশন এর সদস্যবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। আজ মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেন তারা।
জানা যায়, বাংলাদেশ রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (ব্রামা) তত্ত্বাবধানে ৫১টি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আর-২২ গ্যাস আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেরই আরসি গ্যাস সংক্রান্ত ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও একেকজন তিন-চারটা লাইসেন্স নিয়েছেন। এমনকি আমদানি করা গ্যাস পরিকল্পিতভাবে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তিন-চার গুণ বেশি মূল্যেও বিক্রির ঘটনা ঘটছে একই চক্রের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ আরএসি মালিক শ্রমিক এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বলেন, ‘ব্রামা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের আর-২২ গ্যাসের যে উচ্চমূল্যে ব্যবসা শুরু হয়েছে। অনতিবিলম্বে এই সকল লাইসেন্স বাতিল করে সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্স করতে দিতে হবে। ঢাকায় যে সকল বাসায় এসি ব্যবহার করা হবে, অবশ্যই সে বাসাগুলোতে এসির জন্য জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আর-২২ গ্যাসের সাত হাজার টাকার সিলিন্ডারকে যারা ছাব্বিশ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দাবি সমূহ যদি না মানা হয়, ঢাকা শহরের আরসি সংশ্লিষ্ট ৪০ হাজার টেকনিশিয়ান কর্মবিরতিতে যাবে। আমরা কোনো ভবনের এসির কাজ করব না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ সময় তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রমে আরএসি সংগঠনকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করা, অধিদপ্তরের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, দূষণ মনিটরিং কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরকে একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে এর সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করা, ব্রামার প্রেসিডেন্ট ও এর পরিষদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন এবং আর-২২ গ্যাস সিন্ডিকেটকে চিহ্নিতকরণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি লাইসেন্স বাতিল করাসহ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিশ্চিত করা, সরকারি নীতিমালা ও টেকনিশয়ানদের শ্রম প্রণয়ন করার দাবি জানান।