বাপ্পারাজের বিরহ শেষ, অ্যাকশন শুরু

বিনোদন প্রতিবেদক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৫
শেয়ার :
বাপ্পারাজের বিরহ শেষ, অ্যাকশন শুরু

ফেসবুক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাপ্পারাজের পুরোনো সিনেমা ‘প্রেমের সমাধি’র একটি সংলাপ। নেটিজেনরা ‘হেনা’কে নিয়ে বুঁদ হয়ে আছেন। এই সিনেমায় বকুল (বাপ্পারাজ) দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে দেখতে পান তার প্রেমিকা হেনার (শাবনাজ) বাড়িঘর সাজানো।

এরপর হেনার বাবাকে বকুল জিজ্ঞেস করেন, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? চাচা, হেনা কোথায়?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ কথাটি শুনেই আবেগাপ্লুত হয়ে বকুল বলেন, ‘না, না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। এ আমি বিশ্বাস করি না।’ এরপর বাপ্পারাজের কণ্ঠে ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছিঁড়ে, পাখি যায় উড়ে যায়’ গানটি বাজতে থাকে।

চারদিক যখন হেনাকে নিয়ে মাতামাতি তখন বাপ্পারাজ বললেন, অনেক তো বিরহ হলো, এবার একটু অ্যাকশন হয়ে যাক।’ এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। পা রাখলেন ওয়েব দুনিয়ায়। ওয়েব সিরিজের নাম ‘রক্তঋণ’। আজ রবিবার সিরিজের একঝলক ফেসবুকে শেয়ার করে ভক্তদের সে কথাই জানালেন এই চিত্রনায়ক।

বাপ্পারাজের পোস্ট করা ‘ক্যারেক্টার টিজার’র শুরুতেই দেখা যায়, একটি দরজা খুলে যায়। ভেতর থেকে ভেসে আসে ‘প্রেমের সমাধি’ গানটি। পাশে একটি চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উঠছে। পাশে রাখা একটি পিস্তল। পরিচয় জানা যায়, তিনি সায়েম জব্বার, একজন পুলিশ অফিসার। তিনি একটি লেজার লাইট ধরে আছেন সামনের বোর্ডে। সেখানে পত্রিকার খবরগুলো সাঁটানো। পরে শোনা যায় সেই পুলিশ কর্মকর্তার কণ্ঠ ‘এই হাফিজ, বন্ধ করো। অনেক তো বিরহ হলো। এবার একটু অ্যাকশন হয়ে যাক।’

বাপ্পারাজের কণ্ঠে থাকা আরও কিছু সংলাপ থেকে বোঝা যায় এটি ক্রাইম থ্রিলার গল্পের সিরিজ। ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে এই নায়কের ভাষ্য, ‘এখনও কাজ শেষ হয়নি। কাজ চলছে। আরও কিছু কাজ গুছিয়ে নিই, তখন কাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।’

‘রক্তঋণ’ ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মোস্তফা খান সিহান। নির্মাতা বলেন, ‘বিভিন্ন সময় দেখেছি বাপ্পারাজ ভাইয়ের সংলাপ, গল্প নিয়ে প্রচুর মিম তৈরি হয়েছে। কখনো আবার ট্রলও হয়েছে। বলা হয়েছে ব্যর্থ প্রেমের নায়ক। বিরহের সিনেমার জন্য তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। তার সেই ভাবমূর্তিকে পাশ কাটিয়ে একদমই থ্রিলার রহস্য গল্পে নিয়ে আসছি। দর্শকদের আমরা রিপ্লাই দিতে চাই বাপ্পারাজের নতুন চরিত্র দিয়ে।’