চকরিয়ায় বখাটে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ির মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্বাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করার ১৫ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শাশুড়ি পারভীন আক্তার (৩৮) অবশেষে মারা গেছেন।
গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারভীন আক্তার চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ার ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের স্ত্রী।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে জুমার নামাজের সময় বাড়িতে পুরুষ না থাকার সুযোগে বখাটে স্বামী মেহেদী হাসান শ্বশুর বাড়িতে এসে তার স্ত্রী হাফসা ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাফসাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত হাফসার মা পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে পারভীন আক্তার মারা যান।
একই দিন ঘাতক মেহেদী হাসানকে পার্বত্য লামা থানা পুলিশের সহায়তায় লামা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে চকরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হাফসার পিতা আবদুল হামিদ।
জানা যায়, সম্প্রতি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মেহেদী হাসানের সঙ্গে হাফসার বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে হওয়ায় উভয় পরিবার প্রথমে মেনে না নিলেও পরে মেনে নেয়। এক পর্যায়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় স্ত্রী হাফসা তার পিতার বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনার আগের দিন মেহেদী হাসান শ্বশুর বাড়িতে যান।
সে তার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের লোকজন ছাড়া হাফসার পিতা মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেননি। ঘটনার দিন শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অতর্কিত এসে মেহেদী হাসান স্ত্রী হাফসা ও তার মা পারভীন আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আহত পারভীন আক্তার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’