৯ ঘণ্টা ধরে সড়কে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:০৫
শেয়ার :
৯ ঘণ্টা ধরে সড়কে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদালয় করার দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কলেজের সামনের গুলশান-মহাখালী সড়ক অবরোধ করেন তারা। রাত পৌনে ৯টায় শেষ খবর পাওয়া সড়ক ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা। এর ফলে কলেজের আশপাশের নানা সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

রাতে দেখা যায়, কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  কেউ কেউ সড়কে বসে আছেন, কেউ বা শুয়েও রয়েছেন। এ সময় নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া উদ্দীপনামূলক নানা গানও গাইতে দেখা যাচ্ছে তাদের।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে রাজধানীর গুলশান-বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেইট ও মগবাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী-সাধারণ। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ ৭ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না তারা।

মোহাম্মদ আলী নামের এক ছাত্র বলেন, ‘শুরুতে আমাদের পাঁচজন আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। আজ সকালে তাতে আরও দুইজন যোগ দেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস আমরা পাইনি। যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সব দাবি মেনে নেওয়া হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: ফোকাস বাংলা

‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ করার প্রস্তাব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সাত কলেজ নিয়ে নয়, শুধু তিতুমীর কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করছি। সেটার নাম অবশ্যই তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে।’

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের আন্দোলনেরর প্রভাব পড়েছে পুরো মহাখালী, তেজগাঁও এলাকায়। ওইদিকে গাড়ি খুব স্লো পাস হচ্ছে, যে কারণে তীব্র জটলা তৈরি হয়েছে। আমরা মহখালী এলাকার সঙ্গে সমন্বয় করে রেগুলার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার চেষ্টা করছি। যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে, তাদেরকে সেদিক দিয়ে পাস করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা করছি।’