স্বাধীনতা যুদ্ধকে এখনো মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি জামায়াত-শিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:২৫
শেয়ার :
 স্বাধীনতা যুদ্ধকে এখনো মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি জামায়াত-শিবির

জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে এখনো মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করায় তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানিয়ে ছাত্র শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানান রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা।

ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দ্য ও ঘৃনা জানিয়ে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ‘ছাত্র শিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী ‘‘অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল- এটা তাদের ব্যার্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিলো’’ এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারে নাই। বিজয়ের মাসে তাদের এই বক্তব্য গুজরাটের কথাই নরেন্দ্র মোদীর বক্তবেরই প্রতিধ্বনি।’

এতে বলা হয়, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পচানব্বই ভাগই ছিল মুসলিম। আমরা তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা, মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে শুনেই আমরা দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল বিধায় দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ৭১-এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, আব্দুল সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান বীর প্রতীক, এম এ শহীদ বাবলু, মোকশেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মুজিবুর রহমান ছানা, জহুরুল আলম তরফদার, প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, মোস্তফা শাহাবুদ্দীন রেজা, মো. ওবায়দুল হক ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন, মো. কামাল উদ্দিন, আব্দুল হাকিম খান, মো. শরীফ হোসেন, আনোয়ারুল আলম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল বাসেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম, মুজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির, আব্দুল কাদের, মো. গউস মিয়া, আফজাল হোসেন, নূর ইসলাম, নুরুল বাশার, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, কমান্ডার ইউসুফ মৃধা, রফিকুল ইসলাম, এম এ বারী, এস এম কামাল, মজিবুর রহমান বাদল, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।