পুরুষাঙ্গ কাটার ক্ষোভে স্ত্রীর হাত কেটে প্রতিশোধ নিলেন স্বামী
পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রীর ডান হাত কেটে দ্বি-খন্ডিত করেছেন ফিরোজ মিয়া (২৮) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার ঢাকার আশুলিয়ার গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে। তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৫) একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, হাত কেটে ফেলার সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামী ফিরোজকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। এর আগে স্থানীয়রা জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভুঞাপুর থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাককারখানায় চাকরি নেন। স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় জাকিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং পুনরায় আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার সেলিম মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিলেন তারা।
এরপর সুযোগ বুঝে জাকিয়ার ডান হাত কেটে দ্বি-খন্ড করেন এবং তার বাম হাতেও আঘাত করেন। এ সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে। ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে একটি ছেলে রয়েছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া জাকিয়ার স্বামী ফিরোজকে আটক করে আনা হয়। পরে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
