দাফনের ৬ মাস পর ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুমনের মরদেহ উত্তোলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৩৮
শেয়ার :
দাফনের ৬ মাস পর ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুমনের মরদেহ উত্তোলন

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত পঞ্চগড়ের সুমন ইসলামের (২১) মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দাফনের ৬ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদের উপস্থিতিতে জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর, বকশীগঞ্জ করবস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ।

নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিননগর বকশগিঞ্জ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

নিহতের বড় বোন মনিজা বেগম বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে সন্ত্রসীদের ছোড়া গুলিতে আমার ছোটভাই সুমন ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করে।

মৃত্যুর ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন সুমন ইসলামের মা কাজলী বেগম। মামলা নম্বর-৮, তারিখ ০৫/০৯/২০২৪। মামলার তদন্তের জন্য সুমন ইসলামের মরদেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার দাফন করা হবে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আমরা মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলাম। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও মরদেহ দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল মোড়ে আরএমএসটি টাওয়ারের সামনে ছাত্র বিক্ষোভে যোগ দেন সুমন ইসলাম। গুলিবিদ্ধ হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর বকশীগঞ্জ করবস্থানে দাফন করা হয়।