শিয়ালের কামড়ে এক দিনে আহত ৮, আতঙ্কে এলাকাবাসী
রাজশাহীর দুই উপজেলায় একই দিনে শিয়ালের কামড়ে নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের উত্তর তেকাটাপাড়া এবং দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সুখানদিঘী, ব্রহ্মপুর ও দাওকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় শিয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতরা হলেন পবা তেকাটাপাড়ার মোজ্জাফর আলী (৬০), আব্দুল মান্নান (৪৫), মাছিফা বিবি (৫০), দুর্গাপুরের সুখানদিঘী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৩৫), ব্রহ্মপুর গ্রামের জনাব আলী (৬৫), দাওকান্দি গ্রামের মোবারক আলী (৫২), মোজ্জাফর হোসেন (৭০), মাজেদা বেগম (৫০)।
তেকাটাপাড়া গ্রামের শিয়ালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলুর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে বাসায় ফেরার সময় শিয়াল আক্রমণ করে। পরে আমার কাছে থাকা বালতি ছুড়ে মেরে রক্ষা পেয়েছি। তবে আমার গ্রামের বাকি তিনজন ভেড়াপোড়া বিলে ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর সময় শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম রয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।’
শিয়ালের কামড়ে আহত ব্রহ্মপুর গ্রামের আলী বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে বাজারে চা খাওয়ার সময় ফলের বাগানের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ শিয়াল আমার পায়ে কামড় দেয়।’ দাওকান্দি গ্রামের আহত মোজ্জাফর হোসেনের ছেলে রুস্তম আলী জানান, তার বাবা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, এমন সময় হঠাৎ করে শিয়ালের কামড় দেয়। এতে শরীরে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। এ সব ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকায় শিয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, ‘ক্ষতস্থান প্রাথমিকভাবে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে বলা হয়েছে। এরপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। শিয়ালের কামড় থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ওইসব এলাকা এড়িয়ে চলাচল চলতে হবে। ’