পুলিশ সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯:৩১
শেয়ার :
পুলিশ সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ডাকাত শামীমকে (৩০) পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার চেষ্টার সময় বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। 

আটক শামীম হাইজাদী ইউনিয়নের আফরদী গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের রাইনাদী কলাগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি শামীম একটি অটোরিকশা ছিনতাই করতে গেলে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে আটক করে তাকে। পরে শামীমকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। গণপিটুনি খেয়ে শামীম টোটারবাগ গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে স্থানীয় লোকজন আড়াইহাজার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শামীমকে সিএনজিতে করে নিয়ে আসার সময় টোটারবাগ মসজিদের সামনে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতারা শামীমকে ছিনিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম, এসআই আসাদুজ্জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন ও আসামি শামিমসহ ৫ জন আহত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি ভাঙচুর করে। আহত অবস্থায় পুলিশ শমীমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বাকি পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসী জানান, প্রতিদিনই কোথাও না কোথা ডাকাতি হচ্ছে। পুলিশ আটক করে নিলে বিচার হবে না চিন্তা করে তারা গণপিটুনি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পুলিশ আসামি নিয়ে আসে। ফলে বড় ধরণের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আমাদের ৩ জন পুলিশ সামান্য আহত হয়। আর আটক শামীমের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রয়েছে।’

পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানী করা হবে না।’