একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:২৩
শেয়ার :
একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একই জায়গায় বিএনপির দুই গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  আজ মঙ্গলবার সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের শক্তির মহড়া দিচ্ছেন, করেছে মোটরসাইকেল শোডাউন।

আগামীকাল বুধবার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কালেম গ্রামে নজির আহমেদ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছে দুই পক্ষ।  আজ সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করছে দুই গ্রুপ।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজির আহমেদ ‘ভূঁইয়া গ্রুপের’ জনসভা স্থলের ২০০ মিটার দূরে প্রস্তুত হচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার সভা মঞ্চ। একটি গ্রুপের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরী। অপর গ্রুপের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূইঁয়া।

গত রবিবার ভোর রাতে বিএনপির সভা মঞ্চের পাশে অবস্থিত স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এমন অভিযোগ এনে গতকাল সোমবার নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা বিএনপি নেতা শাহ আলম।

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূইঁয়া বলেন, ‘ওই স্থানে কোনো বিএনপির অফিস নেই, আগুন দেয়ারতো প্রশ্নই আসে না। নজির আহমেদ ভূইঁয়ার জনবল নেই, প্রশাসন দিয়ে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করছে। জনসভায় ৫০ হাজার লোক হবে। নজির-মোবাশ্বেরের ১ ভাগ ভোটও নেই, তারা কিভাবে জনসভা ঠেকাবে?’

নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূইঁয়া বলেন, ‘তার বাড়ির পাশে পূর্ব নির্ধারিত উপজেলা বিএনপির জনসভা আগামীকাল বুধবার। হট্টগোল ও বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য সভার স্থলের ২০০ মিটার এলাকার মধ্যেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মদদে আরেকটি সভা ডেকেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কার সঙ্গে আঁতাত করে ধানের শীর্ষকে পরাজিত করা আব্দুল গফুর ভূইঁয়া। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, পালিয়ে যাওয়া হাসিনার দোসরদের জনসভা বন্ধ করে জনসভা করার ক্ষেত্রে যেন সহযোগীতা করে। এছাড়া ওই কুচক্রি মহল গত রবিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে, এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে। ’

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে যাচাই বাচাই চলছে। প্রশাসনিকভাবে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উভয় পক্ষকে আলাদা-আলাদা স্থানে জনসভা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে বারবার বুঝাচ্ছি, এখন তারা বুঝতে না চাইলে আমাদের কি করার আছে? তারপরও আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি, দেখা যাক।’