পলাতক ৭০০ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৭০০ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় বাইরে থাকা সন্ত্রাসীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন ও জরুরি সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন কারাগার থেকে ২ হাজার ২শর বেশি আসামি পালিয়েছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মতো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭০০ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী বাইরে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, তাদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য পুলিশের কাজের মন্থর গতিকেই দায়ী করেছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছে। তবে বাহিনীটির কাজের গতি কম থাকার কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, কারাগারের জরুরি হটলাইন ০৯৬১২০২১৬৯০ এই নম্বরের সেবার মাধ্যমে বন্দীর অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখ জানা যাবে। বন্দীর স্বজনরা এই হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের এই জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি আরও বলেন, ‘ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে, তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আবার যারা ছাড়া পাচ্ছে তারাও এ ধরনের কাজ করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি যতভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।’
৫ আগস্টের পর অনেক দাগী আসামিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমায় এখনো কেউ বের হয়নি। জামিন পেয়েছেন তারা।’
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কারা প্রাঙ্গণে পৌঁছলে কারারক্ষীদের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর তিনি কারাগারের ভেতরে পরিদর্শনে যান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কারা উপমহাপরিদর্শক (ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার ও জেলার একেএএম মাসুম প্রমুখ।